অসীম বাহাদুরের কবিতা
আত্মহত্যা
ঐ মেয়েটাকে চেনো?
যে তার বাপের সাথে ফ্রি হতে পারে নাই
যার বাপ অন্য নারীর জানালায় উঁকি দেয়
যে মেয়েটা লজ্জায় স্কুলে যেতে পারে না
যে মেয়েটার মাকে প্রতিদিন মার খেতে হয়
ঐ মেয়েটাকে চেনো?
যে চোখ বুজে
জানোয়ারের সাথে সংসার করে যাচ্ছে
যার বাপে বিনা খরচায় বিক্রি করছে তাকে
যে স্বামীর ভালোবাসা পেলো না
যার স্বামী লম্পট
পরকীয়ায় মত্ত।
চেনো তাকে?
আমার বোন।
যে আজ ভোরে আমার কাছে এসেছে
এসেছে গলাভর্তি নাইলন দড়ির দাগ নিয়ে।
লক্ষ্য
মনে করো।
মনে করো তুমি ধীরে ধীরে সব ভুলে যাচ্ছো।
ভুলে যাচ্ছো
কখন কোথায় কাকে কিভাবে ভালোবেসেছিলে।
কোন গলি ঘুপচিতে জড়িয়ে
কার ঠোঁটে চুমু খেতে খেতে মাতাল করে দিয়েছিলে তাকে।
সব।
সব ভুলে যাচ্ছো,
আস্তে আস্তে।
আস্তে আস্তে তুমি হয়ে উঠছো সদ্য সূচিত নতুন এক মানুষ।যার
নেই কোন পাপ, নেই ছটা কোন পূণ্যের বালাই।
মনে করো
মনে করো
জনমানব শূন্য এক নতুন পৃথিবীতে শুধু তুমি।
শুধুই তুমি
আর তোমার সেই লক্ষ্য
সে.. ই লক্ষ্য
যাকে তুমি পূরণ করতে
বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলে
ব্যর্থ হচ্ছিলে পুরনো পৃথিবীতে।
মনে পড়ে?
শুরু করো
এবার শুরু করো।
শক্ত করে শুরু করো।
মনে করো
মনে করো
মনে করো সব ভুলে যাচ্ছো..
সব। সব।
আরো পড়ুন: হাসান আজিজুল হকের গল্প
আমাদের ফেসবুক গ্রুপ: সুধাপাঠ সাহিত্য ফোরাম