জহুর কবিরের একগুচ্ছ কবিতা
কবি
নবীদের পরে কবিরায় হয় জ্ঞানী,
অমরতা পায় লিখে কবিতার বাণী।
কবিদের মন বিশুদ্ধ পরিপাটি,
স্বর্ণের মতো জ্বলে পুড়ে করে খাঁটি।
প্রকৃতির মতো দিয়ে যায় অকাতরে,
চায়না কিছুই পেতে দুই হাত ভরে।
পরেনা গলায় কবি স্বার্থের হার,
ধূপ হয়ে পুড়ে সাজায় এ সংসার।
কবি চায় ভালোবাসা পেতে অফুরান,
প্রেম পেলে দিয়ে যায় পুষ্পিত প্রাণ।
চিত্রকর
নেকড়ে অরণ্যে সময়ের প্রতিচিত্র আঁকে এক চিত্রকর
চাইলে নিভিতে দিতে পারো উদয়ের আগে প্রভাকর।
আমি আঁকি যা দেখি ভালো মন্দ দুটোই তুলির টানে,
তেলাপোকা হয়ে বাঁচাতে নেইতো জীবনের কোনো মানে।
শোষকের মসনদ ভেঙে দিই আঘাতে মোমের মতো,
সূর্যের মতো থাকি আমি অক্ষয় থাকি অক্ষত।
যারা লুটে খায় গরিবের ত্রাণ লুটে নেয় সম্বল,
তাদের দুয়ারে আনি উদ্যত প্রলয়ের দাবনল।
হুশিয়ার আমি এই নিপীড়িত জনতার হাতিয়ার,
শাষন দুর্গ এক তুড়িতেই ভেঙে করি চুরমার।
ধুলাতে মিশাই অত্যাচারীর ঠুনকো তাসের ঘর,
দীন হীন যারা তাদের জন্য আমি কল্যাণকর।
দূষণ মুক্ত শহর চাই
এই শহরে বেশি ধরে রঙ বেরঙের ব্যারামে,
তারচে ভালো হাগল পোষা গিয়ে ওই গাঁও গেরামে।
তাজা তাজা শাকসবজিতে প্রচুর আছে ভিটামিন,
গাঁও গেরামের মাংস মাছে মেশায়না ভাই ফরমালিন।
খাঁটি দুধের পায়েস আয়েশ করে নিত্য খাওয়া যায়,
জাম জামরুল আম কাঁঠালের মধুর সুবাস পাওয়া যায়।
ছায়া ঘেরা মায়া ঘেরা দূষণ মুক্ত অক্সিজেন,
এতো কিছু জেনেও হলাম ডার্টি ঢাকার সিটিজেন।
ভেজাল খেয়ে কমে গেছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা,
রোবট হয়ে চলতে চলতে নাইরে মায়া মমতা।
শহর থেকে গেরাম ভালো স্বীকার করতে দ্বিধা নাই,
সুস্থ সবল থাকতে হলে দূষণ মুক্ত শহর চাই।
প্রিয়মুখ
এই যে এতো পেরেশানি
ছুটছো হয়ে হন্নে,
প্রিয় মুখটির হাসিখুশি
দেখার শুধু জন্যে।
এই প্রেমেরই মূল্য কি ভাই
একটু হলেও পাচ্ছ?
নাকি শুধু তার প্রতিদান
ধোঁকাই শুধু খাচ্ছো?
কিছু মানুষ এমনি করে
থাকতে ভালোবাসে,
ধর্য সহ্যের পাহাড় তারা
খোদার বারো মাসে।
প্রিয় জনের ভালো থাকা
এটাই যাদের প্রাপ্তি,
জীবন জুড়ে থাকে তাদের
প্রতারণার ব্যপ্তি ।
আরো পড়ুন: অনপম রায়ের নতুন গান
আমাদের ফেসবুক পেজ: সুধাপাঠ